Event Details

Home / Details
  • 12:00 am to 02:50 pm
  • গোলাপগঞ্জ চন্দরপুর

গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামকে আলোকিত করতে...

গোলাপগঞ্জের লন্ডন প্রবাসী অধ্যূষিত জনপদ কুশিয়ারা তীরবর্তী চন্দরপুর গ্রামকে আলোকিত গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে প্রবাসীরা প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ঐ এলাকার মানুষের কল্যাণে প্রবাসীরা রাস্তাঘাট সংস্কার, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সর্ব ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে চান। বিশেষ করে পুরো গ্রামকে বৈদ্যুতিক বাতি দ্বারা আলোকিত করতে কাজ শুরু করেছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার জনবহুল একটি গ্রাম হচ্ছে বুধবারী বাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর। কুশিয়ারা নদীর উপর নব-নির্মিত ব্রীজটি চন্দরপুর গ্রামের নামেই নামকরণ করা হয়েছে। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রীজটি সব চেয়ে বেশী সুবিধা এনে দিয়েছে চন্দরপুর গ্রামবাসীকে। ব্রীজটি চালু হওয়ার পর তাদের জীবনে নব-দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এক সময় রাত বেশী হলে চন্দরপুরবাসী বাড়ি ফিরতে অনীহা বোধ প্রকাশ করতেন। আজ তাদের প্রতিটি ঘরেই অনায়েশে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে যেতে পারছেন। এতে দেশি-বিদেশী মানুষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা চন্দরপুর গ্রামকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্নের জাল বুনছেন। ইতিমধ্যে লন্ডনে বসবাসরত চন্দরপুরের জনগণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে গঠন করেছেন যুক্তরাজ্যস্থ চন্দরপুর ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের অন্যতম উদ্যোগতা হচ্ছেন- লেখক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব একাউন্টেন্ট আবু তাহের। এছাড়া আরও উদ্যোগী হয়ে এসেছেন গোলাপগগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র অন্যতম ট্রাস্টি ফারুক মিয়া, আল-এমদাদ এডুকেশন ট্রাস্টের ট্রাস্টি তালাত সিদ্দিকী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম কিবরিয়া, মনসুর আলম রুবেল, দেলওয়ার হোসেন, বদরুল আলম, আব্দুল মান্নান মাখন প্রমুখ।
এদিকে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোকিত গ্রামের কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে বুধবার এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিত্ব সাবেক ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও তরুণ সমাজসেবী আবজল হোসেনের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সচিব ও গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুধবারী বাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন শরফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু তাহের, হাজী ফয়জুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক শফিক উদ্দিন আহমদ, জামিল আহমদ কেরল, নুর উদ্দিন, ফারুক মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে উন্নয়ন কার্যক্রমের ঘোষণা করা হয়।